মাঝ রাতে হঠাৎ সামিয়া ঘুম থেকে উঠে দেখে তার শরীরে কোন কাপড় নেই । এটা একদিনের ঘটনা নয় ! আজ বেশ কিছু দিন যাবত সামিয়ার সাথে এমন হচ্ছে

 

লজ্জায় কাউকে বলতেও পারছে না  , আবার এটার ব্যাখ্যা বের করতেও পারছে না  । সামিয়া এবার  HSC examiner   সারাদিন অনলাইনে পরে থাকে সামিয়া। লকডাউনে ছুটির কারনে অনলাইনের প্রতি সে বেশি


মাঝ রাতে হঠাৎ সামিয়া ঘুম থেকে উঠে দেখে তার শরীরে কোন কাপড় নেই । এটা একদিনের ঘটনা নয় ! আজ বেশ কিছু দিন যাবত সামিয়ার সাথে এমন হচ্ছে।  


লজ্জায় কাউকে বলতেও পারছে না  , আবার এটার ব্যাখ্যা বের করতেও পারছে না  । সামিয়া এবার  HSC examiner   সারাদিন অনলাইনে পরে থাকে সামিয়া। লকডাউনে ছুটির কারনে অনলাইনের প্রতি সে বেশি আসক্ত হয়ে গেছে। 


প্রতিদিনকার মতো আজকেও ফেসবুক ঘাটছিলো।  হঠাৎ অচেনা এক আইডি থেকে মেসেজ রিকুয়েস্ট আসে। আগে পিছে কিছু না ভেবেই মেসেজের রিপ্লাই দিলো সে । 


আইডি টা কোনো এক মেয়ের নামে তাই নির্দিধায় কথা বলছিলো সামিয়া।  আইডি টা কোনো  ছেলের নামে হলে হয়তো কথা বলতো না। 


_ hi  ( ঐ আইডির মেয়েটা টা )


সামিয়া _ hello 


মেয়েটা _ আমি প্রিয়া , আপনি নিশ্চয়ই সামিয়া?


সামিয়া  _ হ্যা , কিন্তু আমাকে আপনি কিভাবে জানেন? 


প্রিয়া _ আমি আপনাকে চিনি , রোজ রাতেই তো আমাদের দেখা হয় ।


সামিয়া এইবার অবাক হয়ে গেলো , যাকে চিনিই না তার সাথে রোজ রাতে  কিভাবে দেখা হয় ? 


সামিয়া _ কীভাবে সম্ভব আপনাকে তো আমি কোনো দিন দেখিই নি। 


প্রিয়া অফলাইনে চলে যায়  , সামিয়া ভাবতে থাকে  কে এই অচেনা  মেয়ে?

সামিয়া ঘামাচ্ছিলো হঠাৎ কারো স্পর্শে ঘুম ভেঙ্গে যায়  ।  ঘুম জড়ানো  চোখে তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে তার উপরে আপত্তিকর অবস্থায় জড়িয়ে ধরে আছে । সে চিৎকার দিতেই ভুলে গেছে ছেলেটার মায়া ভরা মুখের দিকে তাকিয়ে। তবুও সে আন্দাজ করতে পারছে তার সাথে বাজে কিছু হচ্ছে যা শুধু স্বামী স্ত্রী করার কথা । 


সামিয়া লাফিয়ে উঠে পরে কিন্তু অবাক ব্যাপার আশে পাশে কাউকে দেখতে পেলো না । 

কী হচ্ছে এসব আমার সাথে  ? মনের ভুল হলে শরীরের কাপড় নেই কেনো । 

সামিয়ার শরীর নিস্তেজ হয়ে আসছে , মেঝেতে পড়ে যায় সে । সকালে চোখ খুলে দেখে সে তার বিছানায় শুয়ে আছে।  তার মা বাবা তার পাশেই বসে দুশ্চিন্তাই বসে আছেন  । 

একটু পরেই তাদের ফ্যামিলী ড. আসলেন , অনেকক্ষণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর উঠে দাঁড়ালেন।  সামিয়ার বাবা আশরাফ হোসেন কে নিয়ে বাইরে চলে গেলেন  । 


আশরাফ হোসেন আশংকা জনক কিছু টের পেয়ে ড. কে জিজ্ঞেস করলেন কী হয়েছে সামিয়ার  ?


ড. মুখ কালো করে বললেন আপনার মেয়ে প্রেগনেন্ট।

কী বলছেন এসব? ওর তো বিয়ে হয়নি আর আমার জানা মতে আমার মেয়ে এমন কিছু করবেও না ।  ড. কিছু না বলে বেরিয়ে গেলেন  । সামিয়া আড়ি পেতে সব কিছু শুনছিল , হঠাৎ তার বাবার চোখে চোখ পড়তেই দৌড়ে তার রুমে চলে যায়  ।


সামিয়া খুব ভালো ভাবে  টের পায় এইসব সেই ছেলেটার জন্য হয়েছে  । সাথে সাথে সেই অচেনা আইডি থেকে মেসেজ আসে।


চলবে....




Post a Comment

0 Comments