চাষা জমির ভৌতিক গল্প
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
হাসিব নামের একটি ছেলে তার মা-বাবার সাথে এক শহরে বাস করে। তাদের এই শহরে আসার মাত্র এক বছরই হয়েছে। হাসিব চাকরি-জীবি। সে চাকরি করছে পাচঁ বছর ধরে। সে তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান। এর আগের বছরই তারা এই নতুন শহরে এসেছে। এই শহরকে মানুষ গুজব শহর নামেও চেনে। কারণ, এই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে নানা গুজবীয় স্থান। ঐগুলো গুজবীয় স্থান হলেও সত্যিই সত্যিই ভুত আছে বলেও মানুষ মনে করে। এই এলাকার মানুষ ঐগুলো জায়গায় কখনও যান না। দুর শহর থেকেও অনেক মানুষ এসেছে ওগুলো জায়গার রহস্য বের করতে। কিন্তু সেগুলো জায়গায় গিয়ে তারা আর ফিরে আসতে পারে নি বলে জানা গেছে। তবুও এগুলো কথার সাক্ষ্য প্রমাণ এই পর্যন্ত কাউকে পাওয়া যায় নি। তবুও এখানকার মানুষ এগুলো গুজবীয় স্থানে কখনও যায় না। কিন্তু এইসব গুজবীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম একটি গুজবীয় স্থান আছে যেটি সবার কাছে ভয়ংকরি স্থান নামে পরিচিত। কারণ- যারাই এই অন্যতম স্থানে গিয়েছে তারা, সেখান থেকে ফিরে আসতে পেরেছে। কিন্তু পরে অত্যন্ত রহস্যময় ভাবে মৃত্যু করেছে। আর সেই মৃত্যু আত্মহত্যা না গুপ্তহত্যা সেটি কেউ বের করতে পারে নি। এমনো শুনা যাচ্ছে যে, এক পুলিশ অফিসারও নাকি এই অন্যতম স্থানটিতে এসেছে। তখন তিনিও অত্যন্ত রহস্যময় ভাবে মারা গেছেন। আর যারাই এই জায়গায় গিয়ে ছিলো তাদের মৃত্যুর ঘটনায় একটি বিষয় লক্ষণীয়। সেটি হলো, তাদের মৃত্যুর একমাস আগে থেকে তারা নিখোঁজ হয়ে যায়। তাদের খুজে পাওয়া যায় না। তারপর সেই এক মাস পরেই তাদের মৃতদেহ অবিশ্বাস্য ভাবে খুজে পাওয়া যায়। কারণ- তাদের যখন খুজে পাওয়া যায় না তখন কিন্তু তাদের বাড়ি ঘরেও খুজে দেখা হয়। কিন্তু তাদের দেখা যায় না। কিন্তু এক মাস পরে বেশির ভাগ মানুষকেই তাদের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাছাড়া কাউকে বিল্ডিং এর পানির ট্যাংকের ভিতরে, কাউকে বিল্ডিং এর ছাদে এবং আরো নানা জায়গায়। যাইহোক, সব দিনের মতো হাসিব অফিসে যাচ্ছিল। আজকে তার ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। তার অফিস পৌছাতে পৌছাতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। সে ভাবলো, এখানে থেকে কোনো শর্টকাট রাস্তা আছে কি অফিস যাওয়ার জন্য? তখন হাসিব তার পকেট থেকে মোবাইল বের করে গুগল ম্যাপ এ ঢুকলো। সে একটি শর্টকাট রাস্তা পেয়ে গেলো। কিন্তু গুগল ম্যাপ সে যে রাস্তাটি খুজে পেলো সেটি এই এলাকার অন্যতম গুজবীয় স্থান এর জায়গাটি। সবাই এই অন্যতম স্থানটিতে কখনও যায় না। তখন হাসিব ভাবলো, সেই জায়গাটি ভয়ানক স্থান এখানকার মানুষ শুধু বলছে এর সাক্ষী প্রমাণ কেউ নেই। এটাও তো হতে পারে ওই রাস্তায় গিয়ে কারো কিছু হয় নি। শুধু মানুষের মনে ভয় জাগানোর জন্য লোকজন এই কথা বলছে। হাসিব তখন সিদ্ধান্ত নিল সে ওই রাস্তা দিয়ে যাবে। আর সেতো একাই যাচ্ছে কোনো কিছু হলে তারই হবে। তাছাড়া তার নিজের মটরসাইকেল আছে। সে রওনা দিলো। তখন সে যেতে যেতে সেই রাস্তার সমনে চলে এলো। সেই রাস্তার পাশে একটা বোর্ড লাগানো ছিল। সেখানে লেখা ছিল ভুলেও এই রাস্তা দিয়ে যাবেন না। হাসিব আগেও বোর্ডটি দেখেছে কিন্তু ওতো মনোযোগ দেয় নি। সে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকলো কারণ, কেউ যদি তাকে ওই রাস্তা দিয়ে না যেতে দেখে। যখন সে দেখলো তার আশেপাশে কেউ গাড়ি বা অন্য যানবাহন যাচ্ছে না তখন সে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া শুরু করলো। সে ওই রাস্তার অনেক ভেতরে চলে যাচ্ছিল। তার মটরসাইকেল চলতে চলতে হঠাৎ নিজেই থেমে গেলো। হাসিব অনেক চেষ্টা করেও মটরসাইকেল চালু করতে পারলো না। পেট্রোলও ফুল আছে। হঠাৎ সে একটা সুগন্ধ পেলো। সে মটরসাইকেল রেখে সুগন্ধ কোথা থেকে আসছে তা খুজতে গেলো। হাটতে হাটতে সে রাস্তার পাশে থাকা গাছপালা পার হয়ে একটি বড় কৃষি জমির সামনে আসলো (কৃষি জমিকেই চাষা জমি বলা হয় কারণ- কৃষি জমিতেই চাষ করা হয়)। কৃষি জমিটিতে এক হাটু লম্বা অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর গাছ রেয়েছে। গাছ গুলোতে এক আঙ্গুল সমান সুন্দর সুন্দর ফল হয়ে আছে। সুগন্ধ ফলগুলো থেকেই আসছে। এমন ফল সে আগে কখন দেখে নি। সে তার লোভকে আর সামলে রাখতে পারলো না। সে একটি গাছ থেকে একটি ফল ছুটিয়ে নিলো। তারপর সে ফলটিতে কামড় দিলো। ফলটি এতো সুস্বাদু যে সে কল্পনায়-ও বুঝাতে পারবে না। সে এক এক করে দশ বারোটা ফল খেয়ে ফেলল। তারপর তার মনে এলো সেতো অফিস যাচ্ছিল। অনেক দেরি হয়ে গেলো। সে তার ঘড়ি দেখলো, ঘড়ি বন্ধ হয়ে আছে। সে তখন ভাবলো ঘড়িটিতো সে কিছু দিন আগে কিনেছে। আর বাড়ি থেকে বের হওয়ার.......
0 Comments